ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বললেন পুতিন

- ডেস্ক রিপোর্ট:
- 15 Mar, 2025
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি-বার্তার মাঝেই রাশিয়ার কুর্স্ক শহরে ইউক্রেন বাহিনীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ট্রাম্প পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফেরাতে চান। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষে কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে পুতিনের নীতিতে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে ইউরোপে। ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশগুলি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন আধিকারিকদের আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধবিরতির এই উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিতে চান পুতিন। তিনি সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন। ট্রাম্প অবশ্য পুতিনের উপর আস্থা রেখেছেন। কুর্স্কে ইউক্রেন সেনাদের যাতে হত্যা না-করা হয়, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন।
দেশের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে গত অগস্টে রাশিয়ায় ঢুকে পড়েছিল ইউক্রেন বাহিনী। কুর্স্ক-সহ বেশ কিছুটা অংশ তারা দখলও করে নিয়েছিল। গত সপ্তাহ থেকে কুর্স্কে প্রত্যাঘাত করেছে রাশিয়া। আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছেন পুতিন। ওই শহরে ইউক্রেন সেনাদের ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। কুর্স্কের পরিস্থিতি নিয়ে জ়েলেনস্কি এবং ট্রাম্প উভয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা কুর্স্কে আটকে পড়েছেন। আমি পুতিনকে অনুরোধ করেছি, ওদের যেন প্রাণে মেরে না-ফেলা হয়। যদি হয়, তবে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় গণহত্যা হবে।’’
পুতিন জানান, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় তিনি আগ্রহী। কিন্তু কুর্স্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। এখনও পর্যন্ত জ়েলেনস্কি তাতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের প্রতিনিধি পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
পুতিনের নীতিতে খুশি নয় ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশ। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চুক্তি নিয়ে ছেলেখেলা করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আমরা সেটা হতে দিতে পারি না। পুতিন বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ক্রেমলিন আসলে শান্তি চায় না। তাই পুতিন যুদ্ধবিরতি পিছিয়ে দিতে চাইছেন।’’
পুতিনের নীতি নিয়ে এর আগে ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। আমেরিকায় জ়েলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের বাদানুবাদের পর ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেনের পাশেই দাঁড়িয়েছিল। ব্রিটেন, ফ্রান্স ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম। ইউক্রেনে সেনা পাঠাতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে এই দুই দেশ।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
